সেদিন ছিল শনিবার। চারিদিকে গ্রীষ্মের দাবদাহে রাস্তাঘাট সব ফাঁকা। গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে সেই রৌদ্রের মধ্য দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছে অনুপ। ক্লান্ত শরীর নিয়ে গা দিয়ে ঘাম টপটপ করে পড়ছে সেই অবস্থায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে অনুপ। পথে অনেকে বলেছে এই ছেলে ছাতা কোথায় তোর। তখন অনুপ বলে আমাদের ছাতা কেনার পয়সা নেই আপনি কি কিনে দেবেন। তখন সেই লোকগুলো মুখ গম্ভীর করে চলে যায়। তখন অনুপ বোঝে এই সমাজে মানুষকে সাহায্য করার চেয়ে কষ্টটা বেশি দেখে মজা নেয়। এইভাবে সেবারের গ্রীষ্মের দাবদাহে ছোট্ট অনুপ বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত হেঁটে যায় আসে। এরপর গ্রীষ্মের ছুটি পড়লে একটু হাফ ছেড়ে বাঁচে অনুপ। সেবারের প্রতিটি গ্রীষ্মের দুপুর দুচোখ ভরে উপভোগ করেছিল অনুপ মানুষের মন বুঝেছিল কিন্তু একটা বারও কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এরপর দেখতে দেখতে অনুপ বড় হলো। পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে এখন বেশ শান্তিতে আছে। সেদিনের সেই দৃশ্যগুলো মনে পড়লে মনটা কেঁদে ওঠে অনুপের। কর্মজীবনে প্রবেশ করে তার ব্যস্ততায় একেবারে নিজেকে আলাদা করে ফেলেছে। তবুও সেই দিনগুলির কথা মনে রেখেছে মনের গহীন গভীরে উজ্জ্বল স্মৃতি হিসেবে।
